লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

স্নেহধন্য মায়ের কোল সন্তানের প্রথম শিক্ষা কেন্দ্র। মা সন্তানের প্রাথমিক ও মৌলিক ওস্তাদ। মায়ের শিক্ষা শিশুর জীবন গঠনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশেষভাবে কার্যকরী। পৃথিবীতে পুরুষের চেয়ে মহিলার সংখ্যা বেশী আবার মহিলার চেয়ে শিশুর সংখ্যা বেশী। এ ক্ষেত্রে মাতৃজাতিই যদি ইসলামী শিক্ষায় বঞ্চিত থেকে যায় তবে শিশুরা শিখবে কোত্থেকে? তাই বর্তমান ও অনাগত শিশুদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনায় নারী শিক্ষার অপরিহার্যতা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। এ দৃষ্টিকোন থেকেই সমাজের চিন্তাশীল ব্যক্তিবর্গ মহিলাদের শিক্ষার উপর গুরুত্ব উপলব্ধি করে মহিলা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার উপর বিশেষ জোর দিয়ে থাকেন। কেননা মা যদি শিক্ষিতা, দ্বীনদার ও তৌহিদবাদি আদর্শ মুসলিমা হন, তবেই তার অনুসরণে সন্তান আদর্শ মুসলিমরূপে গড়ে উঠতে বাধ্য। এরই ফলশ্রুতিতে ইনশাআল্লাহ ইসলামী পরিবার ও সমাজ গড়ে উঠবে এতে সন্দেহের অবকাশ নেই।

উপরোক্ত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে সমকালীন বিশ্বের প্রখ্যাত আলেম আওলাদে রাসুল (সা.) শহীদ মাহমুদ মোস্তফা আলমাদানী (রহ.) এর পরামর্শক্রমে এবং তারই নির্দেশনায় আজ থেকে প্রায় ৪৭ বছর পূর্বে মাওলানা কাজী মোহাম্মদ আলী সাহেব (রহ.) স্বীয় ভূমিতে “আদর্শ মহিলা মাদ্রাসা”নামে একটি পরিকল্পিত শিক্ষা কেন্দ্রের বুনিয়াদ প্রতিষ্ঠা করেন। এটা ১৯৭০ সালের কথা। যা তার লালিত স্বপ্নের স্বাক্ষর বহন করে উত্তরোত্তর উন্নতির পথে আপন মহিমায় দাঁড়িয়ে আছে। বলা বাহুল্য প্রতিষ্ঠাতার চিন্তা অনুযায়ী গোড়া থেকেই একে বিশ্ব বিখ্যাত দারুল উলুম দেওবন্দের অনুসরণে কওমী মাদ্রাসা হিসাবে গড়ে তোলার নীতি গ্রহণ করা হয়। আজ এখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার শত শত বালিকারা দ্বীনি শিক্ষা গ্রহণ করছে এবং মহিলারাও পাচ্ছে সঠিক পথের সন্ধান।

 

 

Share