জামিয়া আরাবিয়া লিলবানাত-সোনারং আদর্শ মহিলা মাদ্রাসাটি’ বিশ্ব বিখ্যাত দারুল উলূম দেওবন্দের সিলসিলাভুক্ত আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আদর্শভিত্তিক বৃহত্তম একটি দ্বীনি প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এর অধীনে ।
(ক) মাদ্রাসার বৈশিষ্ট্যসমূহ:
* মাদ্রাসা ওয়াক্ফকৃত ভূমিতে ৪ তলা বিশিষ্ট ৩টিভবন রয়েছে এবং ১০০ ী ৪০ ফিট ৭ তলা শিক্ষাভবনের নির্মাণকাজ চলছে। এখানে শরয়ী পর্দা ও নিরাপত্তার সাথে ১০০০ জন ছাত্রী আবাসিকভাবে ইলমেদ্বীন শিক্ষা গ্রহণ করছে।
* সংক্ষিপ্ত সময়ে সহজতম পদ্ধতিতে ১০ম শ্রেণীমানের বাংলা, ইংরেজী, গার্হস্থ্য বিজ্ঞানসহ দাওরায়ে হাদীস পর্যন্ত ১০ বৎসরে সুন্দরভাবে পড়ানো হয়।
* স্বল্প সময়ে কুরআন শরীফ বিশুদ্ধরূপে তাজবীদসহ পড়ার জন্য নূরানী পদ্ধতিতে কেরাত বিভাগ চালু আছে।
* কুরআন শরীফে দক্ষতা অর্জন এবং ক্বেরাতের সুদক্ষ ওস্তাদ গড়ে তোলার লক্ষে রমজান মাসে মুয়াল্লিমা ট্রেনিং কোর্স করানো হয়। পরীক্ষায় উত্তীর্ণদেরকে কেন্দ্রিয়ভাবে সনদ দেওয়া হয়।
* সুদক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকামন্ডলী দ্বারা ছাত্রীদের পড়া লেখ ও তারবিয়্যাতের কাজ সুষ্ঠু ভাবে পরিচালিত হচ্ছে ও সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানের জন্য ১৫/১৬ জন শিক্ষিকা মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে অবস্থান করেন।
* ইলমেদ্বীন শিক্ষার পাশাপাশি সুন্নাত মোতাবেক জীবন গঠনের জন্য চেষ্টা করা হয়।
* নামাযী পরহেজগার বাবুর্চী দ্বারা প্রতিদিন তিনবেলা স্বাস্থসম্মত খাদ্য সাপ্তাহিক তালিকা অনুযায়ী পরিবেশনের চেষ্টা করা হয়।
* মাদ্রাসায় বৈদ্যুতিক লাইট, ফ্যান, জেনারেটর ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা আছে। সুরক্ষিত উঁচু দেয়াল, গেট দারোয়ান ও নৈশপ্রহরী রয়েছে।
* লিল্লাহ ফান্ড হতে সহযোগিতা দিয়ে, এতিম, নিরুপায়, দুঃস্থ ছাত্রীদের ইলমে দ্বীন শিক্ষা দিয়ে আদর্শ নারী হিসেবে গড়ে তোলা হয়।
* মাদ্রাসা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনা ও উন্নয়নের জন্য এলাকার সুযোগ্য সুশিল ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে ২৬ সদস্যবিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি আছে।
* প্রতি রমযানে স্কুল কলেজের ছাত্রী ও বয়স্কা মহিলাদেরকে নূরানী ট্রেনিং এর মাধ্যমে কুরআন শরীফ শিক্ষার সুব্যবস্থা করা হয়।
* মাদ্রাসার অভ্যন্তরে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত, সাক্ষাত কার্ড ব্যতীত সাক্ষাতেরকোনই সুযোগ নেই এবং মহিলা দর্শনার্থী অফিসের অনুমতি নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে হয়। পুরুষ অভিভাবকদেরকে গেটস্থিত নির্দিষ্ট স্থানে সাক্ষাত করতে হয় এবং সাক্ষাতের সর্বোচ্চ সময় ৫ মিনিট।
* ছাত্রীরা অসুস্থ হলে প্রাথমিকভাবে ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসা দেয়া হয়।
* একাধিক সুদক্ষ হিসাব রক্ষক দ্বারা মাদ্রাসার আয়-ব্যায়ের যাবতীয় হিসাব রাখা হয় এবং সরকার অনুমোদিত অডিটর দ্বারা অডিট করানো হয়।
* শরীয়তসম্মত অভিভাবকের উপস্থিতি এবং অনুমতি ব্যতীত কোন ছাত্রী ভর্তি করা হয় না।
* উপরের জামাতের ছাত্রীদেরকে মাদ্রাসার পক্ষ হতে ফ্রি কিতাব দেয়া হয়।
* মুহ্তামিম সাহেবের তত্ত্বাবধানে প্রতিমাসে একবার সকল শিক্ষক- শিক্ষিকাদেরকে নিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষার মান উন্নয়ন ও বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং সমস্যাবলীর সমাধানে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
* সাপ্তাহিক পরামর্শ ঃ মাদরাসার অভ্যন্তরীণ সমস্যাবলির সমাধান, তাকরার, মুতালাআ, নেগরানী ছাত্রীদের চরিত্র গঠন ও শিক্ষা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ প্রতি রবিবার বাদ মাগরিব হতে ৯ টা পর্যন্ত চলে। এই সভায় উল্লেখিত বিষয়গুলির উপর আলোচনা করা হয় এবং সমাধানকল্পে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়।
* শিক্ষা-দীক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতি মাসে ছাত্রীদের মাসিক পরীক্ষা নেয়া হয়। ১ম সাময়িক, ২য় সাময়িক ও বার্ষিক পরীক্ষার পর রেজাল্ট কার্ডের মাধ্যমে অভিভাবকদেরকে ছাত্রীদের উন্নতি অবনতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়।
* বিশেষ ক্ষেত্রে মাদ্রাসা নিজ দায়িত্বে সাময়িকভাবে ছাত্রীদের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করে থাকে।
* যাকাত, ফিৎরা, কুরবাণীর চামড়া ও সদকার টাকা তাহলিল করে মাদরাসার নির্মাণ উন্নয়নে বা উস্তাদগণের বেতন ভাতার জন্য ব্যবহার করা হয় না। শুধুমাত্র এতিম গরিব ছাত্রীদের জন্য ব্যয় করা হয়।